গ্রহাণুর আঘাতে ২০৩২ সালেই ধ্বংস হতে পারে ভারত

Ashok Kumar
By -
0

 

গ্রহাণুর আঘাতে ২০৩২ সালেই ধ্বংস হতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান!

 ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট ১৮ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গ্রহাণুর আঘাতে ২০৩২ সালেই ধ্বংস হতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান!

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পারস্পরিক বিরোধ যখন চরমে, তখনই নতুন এক মহাজাগতিক হুমকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞানীরা একটি নতুন গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন, যা ২০৩২ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চিলির রিও হুরতাদে অবস্থিত একটি টেলিস্কোপ সর্বপ্রথম ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’ নামের এই গ্রহাণুটি শনাক্ত করে। এরপর থেকেই নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Ezoic

বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহাণুটির আকার ৪০ থেকে ৯০ মিটারের মধ্যে হতে পারে এবং বর্তমানে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে সাত কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে এটি ক্রমশ পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং এর গতিপথ পরিবর্তনশীল, যা একে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

গবেষকদের ধারণা, ২০২৪ ওয়াইআর৪ যদি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে সম্ভাব্য বিস্ফোরণস্থল হতে পারে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, আফ্রিকা, আরব সাগর কিংবা দক্ষিণ এশিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

শুরুতে এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ১% থাকলেও, সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তা বেড়ে বর্তমানে ২৩% হয়েছে। যদিও এটি আরও বাড়তে বা কমতে পারে, বিজ্ঞানীরা এখনই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে বিশাল এক গ্রহাণুর আঘাতেই পৃথিবী থেকে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, এমন একটি মহাজাগতিক সংঘর্ষ মানবজাতির জন্যও ভয়ঙ্কর হতে পারে।তবে আধুনিক প্রযুক্তি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার কারণে বিজ্ঞানীরা আগেভাগেই সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং এখনো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Ezoic

২০২৪ ওয়াইআর৪ আসলেই পৃথিবীর জন্য বড় কোনো বিপদ বয়ে আনবে কি না, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।


Ezoic

এম.কে

Tags:

Post a Comment

0Comments

Please Select Embedded Mode To show the Comment System.*