সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে ষড়যন্ত্র আছে এটা নিশ্চিত: সারজিস

Ashok Kumar
By -
0

সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে ষড়যন্ত্র আছে এটা নিশ্চিত: সারজিস


প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, পিএম

শেয়ার করুন:

11Shares
facebook sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে ষড়যন্ত্র আছে এটা নিশ্চিত: সারজিস

গভীর রাতে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে দুটি ভিন্ন জায়গায় একযোগে আগুন লাগার ঘটনায় এর পেছনে যে ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দুই উপদেষ্টার কার্যালয়ে আগুন লাগার বিষয়টি ষড়যন্ত্রের সন্দেহকে জোরালো করে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির 'ঠাকুরগাঁও রাইজিং' প্রোগ্রামে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা ব


সারজিস আলম বলেন, সচিবালয়ের দুই রুমে আগুন, মধ্যবর্তী রুমের পার্থক্য প্রায় ১০০ মিটার। এটা কীভাবে সম্ভব। আগুন একটা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে। এটাই হওয়ার ছিল। কিন্তু এমন দুটি রুমে আগুন লেগেছে যে দুটি রুমে অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের অফিস। যারা এখন বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের রুম।

আলোচিত এই ছাত্র নেতা বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে ও দেখতে পেরেছি, সেখানে একটি কুকুরের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সচিবালয়ের ভেতরে কীভাবে একটি কুকুর পাওয়া যেতে পারে। এখানে কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র আছে এটা আমরা নিশ্চিত। আপনারা দেখেছেন, কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। সেটিও আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করতে হবে।

সচিবালয়ের বড় আমলারা খুনি হাসিনাকে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছিল উল্লেখ করে সারজিস বলেন, আমলাদের একটা বড় অংশ বিগত ১৬ বছরের সকল অন্যায় অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে। এদের একটা বড় অংশ দেশের সরকারি অফিসগুলোতে খুনি ‍হাসিনার পারিবারিকতন্ত্র চালিয়েছে। রেফারেন্স, স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে, দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে প্রত্যেকটা সরকারি অফিস দলীয়করণ হয়ে গিয়েছিল।

সারজিস বলেন, বিপ্লবীরা এতদিন ধরে আমলাতন্ত্রে ও সরকারি যারা আছে তারা তাদের জায়গা থেকে সুশীলতা দেখিয়েছে। এগুলো বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে প্রাসঙ্গিক হতে পারে না। তার প্রমাণ হচ্ছে গতকালের সচিবালয়ের আগুন।




বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, খুনি হাসিনার পক্ষে কিছু আমলা সচিবালয়ে এখনো অফিস করে। তাহলে সচিবালয় কীভাবে নিরাপদ থাকবে। অন্তর্বতীকালীন সরকারের উচিত হবে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

Sarjis2

চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গিয়েছে। মামলা দিয়ে ও বড় বড় ব্যবসায়ীদের রাতের বেলা বাসায় ডেকে নিয়ে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করাসহ বিভিন্নভাবে মানুষের কাছে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এগুলোর জন্য এত মানুষ জীবন দেয়নি। অভ্যুত্থানের পরে যদি পরিস্থিতি করুণ অবস্থার দিকে যায়, তাহলে নতুন করে অভ্যুত্থানের জন্য আর কেউ রাস্তায় নামবে না। ছাত্রদের ইমোশন নিয়ে এখন খেলা হচ্ছে। এখানেও কোনো শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ আছেন, কিন্তু কেউ যদি কারও নাম ভাঙিয়ে কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত হয় ও সেটা প্রতিহত না হলে আমরা তাকেও দায়ী করব। তাই সকলের সাহস থাকতে হবে, যেটি আমরা গত ৩ ও ৪ আগস্ট দেখিয়েছি। আমরা সকলে একসাথে কাজ করলে কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না। 

জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তি। সকলে অনুভব করে নতুন কিছু দরকার। বাংলাদেশের লিডারশিপগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে ডিমান্ড অনুযায়ী দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে নাগরিক কমিটি।

নির্বাচনের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে যদি বলা যেত দুই-তিন বছর সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে, তাহলে শুধু রাজনৈতিক দল না, একজন সাধারণ মানুষকেও দ্বিমত পাওয়া যেত না। আবার নির্বাচনের সময়কে দীর্ঘ করে দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের এখনো পাঁচ মাস পার হয়নি। তাদের স্ট্যান্ডার্ড সংস্কারের সময় ও সুযোগ দিতে হবে।

প্রতিনিধি/জেবি



সচিবালয়অগ্নিকাণ্ডকোটাবিরোধী আন্দোলনবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

Tags:

Post a Comment

0Comments

Please Select Embedded Mode To show the Comment System.*